কুমিল্লায় মেঘনা নদীতে নিখোঁজ ট্রলার চালকের লাশ উদ্ধার
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
কুমিল্লার মেঘনায় নিখোঁজ হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর নদীতে ভেসে উঠেছে ট্রলার চালক আমির হোসেনের লাশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা চালিভাঙ্গা বাজারের বাঁশবাজার খাল থেকে থানা পুলিশ ট্রলার চালকের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত আমির হোসেন (৪৫) মেঘনা উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে ট্রলার চালক আমির হোসেন ও তার ছেলে ইব্রাহিম (১৫) ট্রলার চালানোর পর রাত সাড়ে ৮টায় বাড়ি ফেরার পথে তার সৎ ভাই মো. দেলোয়ার হোসেন ফোন করেন। তিনি ফোন পেয়ে তার ছেলে ইব্রাহিমকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে সৎ ভাইয়ের কথা মত বৌদ্ধার বাজার যায়। বৌদ্ধার বাজার যাওয়ার পর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় সৎ ভাই দেলোয়ার চিৎকার চেঁচামেচি করে বলে তিনি অসুস্থ। পরে ওই রাতেই বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ দেলোয়ারকে চিকিৎসার জন্য স্পিডবোট দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায়। পরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে চালিভাঙ্গা বাঁশবাজারের খালে একটি লাশ ভেসে উঠলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়রা নিখোঁজ ট্রলার চালক আমিরের লাশ হিসেবে এটিকে সনাক্ত করে। এদিকে আমির হোসেনের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সৎ ভাই দেলোয়ার হোসেন গা–ঢাকা দিয়েছে। আমিরের ১৫ বছরের ছেলে ইব্রাহিম বলেন, বাবা ও আমি ট্রলার নিয়ে বাড়ি আসার সময় আব্বার মোবাইলে একটা ফোন আসে। তখন বাবা আমাকে বলে তুই বাড়িতে চলে যা, আমি পরে যাবো। আর তোর চাচা ফোন করেছে তাকে বৈদ্যার বাজার থেকে নিয়ে আসতে বলেছে এবং এ কথা কাউকে জানাতে না করেছে, তুই কাউকে এমনকি তোর মাকেও বলবি না। মেঘনা থানার ওসি মো. সামসুদ্দিন আহম্মেদ জানান, আমরা খবর পেয়ে রাতেই ফোর্স পাঠিয়ে রক্ত মাখা ট্রলারটি জব্দ করি। সকালে আমিরের লাশ চালিভাঙ্গা বাশবাজারের খাল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তার সৎ ভাই দেলোয়ারকে আটক করার জন্য ঢাকায় আমাদের টিম পাঠানো হয়েছিলো, তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে।